ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা ঋণ ও সহায়ক সেবা গ্রামের জনগোষ্ঠীর নিকট উৎপাদনের তহবিল সহজলভ্য করার লক্ষ্যে পল্লীঋণ খাতে নেতৃত্ব প্রদান। বিআরডিবি’র ঋণ কার্যক্রমে বিদ্যমান সেবামূল্যের হার অর্ধেকে নামিয়ে আনা এবং আদায়কৃত ঋণের সেবামূল্যের একটি অংশ সুফলভোগীকে সঞ্চয়-প্রণোদনা হিসেবে প্রদান। সদ্য প্রবর্তিত বাংলাদেশ পল্লী উন্নয়ন বোর্ড আইন, ২০১৮ এর ৯(১) ধারা মোতাবেক গ্রাম পর্যায়ে গঠিত প্রাথমিক সমবায় সমিতি, পল্লী উন্নয়ন দল এবং উপজেলা কেন্দ্রীয় সমবায় সমিতির উন্নয়ন, উদ্বুদ্ধকরণ এবং বিকাশমূলক কর্মসূচী পরিচালনায় পল্লী উন্নয়ন তহবিল নামে একটি তহবিল থাকবে। আইনের ধারা 10(1)(ক) মোতাবেক তহবিলের উৎস হবে সরকার কর্তৃক প্রদত্ত অনুদান বা বরাদ্দকৃত বাজেট। সে প্রেক্ষাপটে সমিতিগুলোকে নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় স্বশাসিত ও অর্থনৈতিকভাবে টেকসই চালিকা শক্তি রূপে গড়ে উঠতে সহায়তার জন্য সরকারের আর্থিক পৃষ্ঠপোষকতা প্রয়োজন। প্রয়োজনীয় অর্থের অভাবে প্রশিক্ষণ সংক্রান্ত কোন কাজ করা সম্ভব হয়নি ফলে ‘‘Promotional, Motivational, Educational & Entrepreneurship Development ’’ করা যাচ্ছে না। পল্লী উন্নয়ন সম্পর্কিত উন্নয়নমূলক, উদ্বুদ্ধকরণমূলক এবং শিক্ষামূলক কার্যক্রমসমূহ প্রগতিশীলভাবে হস্তান্তর করার লক্ষ্যে সদস্যদের মধ্যে ঋণ বিতরণ, বেতন ভাতা, সভা, সেমিনার অনুষ্ঠান, খেলাধুলা, বিশেষ অনুষ্ঠান, বিশেষ ধরণের প্রনোদনা বা পুরস্কার প্রদান বা পলস্নী উন্নয়ন পদক প্রদান ইত্যাদি প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করার লক্ষ্যে পল্লী উন্নয়ন তহবিল খাতে প্রয়োজনীয় অর্থ বরাদ্দের বিষয়ে সরকারের নিকট প্রস্তাব প্রেরণ করা যেতে পারে। অর্থ মন্ত্রণালয় হতে সিড ক্যাপিটাল খাতে নিয়মিতভাবে প্রতি বছর থোক মঞ্জুরি প্রদান করা হলে সুফলভোগীদের ক্রমবর্ধমান ঋণের চাহিদা পূরণ হবে। সুফলভোগীদের দীর্ঘমেয়াদি ট্রেডভিত্তিক প্রশিক্ষণেরও ব্যবস্থা করা যাবে। জেলাভিত্তিক কমোডিটি প্রোমোট করা; এক জেলা দুটি পণ্য। ইউসিসিএগুলোকে আর্থিকভাবে টেকসই করার লক্ষ্যে কৃষি পন্য বাজারজাতকরণের জন্য সহজ শর্তে ঋণ সুবিধা প্রদান, পাওয়ার টিলার, ধান মাড়াই মেশিন, ধান রোপন ও কাটার মেশিনসহ অন্যান্য যন্ত্র ও আনুষঙ্গিক সুবিধাদি প্রদানের জন্য ব্যবস্থা নেয়া যেতেপারে। এছাড়া কৃষকদের (সমবায়ীদের) পন্য বাজারজাতকরণের জন্য স্থানীয় পর্যায়ে তথ্য হাব বা তথ্য সেবা প্রদান কেন্দ্র প্রতিষ্ঠার ব্যবস্থা নেয়া যেতে পারে। আইসিটি ভিত্তিক মার্কেট লিংকেজ সৃষ্টি, অটোমেশন এর ব্যবস্থা, ইলেক্ট্রনিক ডিভাইসের মাধ্যমে তথ্য আদান প্রদান (মোবাইল ফোন) প্রাথমিক সমবায় সমিতির সদস্যদের উৎপাদিত পন্য সামগ্রী বিপণনের জন্য কেন্দ্রীয় সমবায় সমিতির নিয়ন্ত্রণে বিপনীবিতান প্রতিষ্ঠা করা। বিআরিডবি’র আওতাধীন কৃষক সমবায় সমিতিতে এ পর্যমত্ম ১৮৫০০টি গভীর নলকুপ ৪৪,৫২৩ টি অগভীর নলকুপ। ক্ষুদ্র সেচ ও বিশুদ্ধ পানির জন্য সরবরাহ করা হয়েছে ২,৭৩,০০ টি হস্তচালিত নলকুপ। এগুলো সবকিছুই সময়ের আবর্তে সেকেলে হয়ে পড়েছে। ডিজেল চালিত গভীর নলকুপ ব্যবহারের কারণে খরচ বেশী হচ্ছে। গভীর নলকুপগুলোতে ডিজেল চালিত মেশিন এর পরিবর্তে বিদ্যুৎচালিত মোটর স্থাপন করার ব্যবস্থা নিতে হবে। ইতোমধ্যে প্রকল্পের মাধ্যমে কিছু গভীর নলকুপ Functional পরিবর্তন করা হয়েছে। সরকার নীতিগত সিদ্ধামত্ম গ্রহণ করলে বর্ণিত কাজসহ Surface water ব্যবহারের জন্য প্রয়োজনীয় সংখ্যক প্রকল্প গ্রহণ করে এক্ষেত্রে ব্যাপক পরিবর্তন সাধন করা যেতে পারে। প্রাতিষ্ঠানিক কাঠামো উপজেলা কেন্দ্রীয় সমিতিগুলোকে বিদ্যমান বাংলাদেশ পল্লী উন্নয়ন বোর্ড আইন, ২০১৮ এর আলোকে শক্তিশালীকরণ (সিড ক্যাপিটাল, প্রশিক্ষণ ও প্রোমোশন)। বিআরডিবি’র মাঠ পর্যায়কে প্রয়োজনীয় লজিস্টিক সরবরাহ করে সক্ষমতা বৃদ্ধি। ৮টি বিভাগীয় পর্যায়ে বিআরডিবি’র দপ্তর স্থাপন। সকল সেবা প্রদান কার্যক্রম ডিজিটালাইজড্ করা। প্রকল্প প্রস্তাব দাখিল বাংলাদেশ পল্লী উন্নয়ন বোর্ডের সেবা কার্যক্রম আরো সম্প্রসারিত ও সুসংহত করার লক্ষ্যে বিভিন্নমুখী উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। চলমান এ উদ্যোগের প্রধান মাধ্যম হচ্ছে নতুন ধারণার প্রতিফলনে নতুন নতুন প্রকল্প বাস্তবায়ন। দারিদ্র্য বিমোচনের লক্ষ্যে পুষ্টি সমৃদ্ধ উচ্চ মূল্যের অপ্রধান শস্য উৎপাদন ও বাজারজাতকরণ কর্মসূচি; লালমনিরহাট, নীলফামারী, কুড়িগ্রাম ও পঞ্চগড় জেলার দরিদ্রদের জীবনমান উন্নয়ন প্রকল্প; বিআরডিটিআই’র শক্তিশালী ও আধুনিকীকরণ প্রকল্প; মহিলা প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউট, টাংগাইল এর সম্প্রসারণ, সংস্কার ও আধুনিকায়ন প্রকল্প।
Planning and Implementation: Cabinet Division, A2I, BCC, DoICT and BASIS